“আমরা জনগণই হিরণ ভাইকে টিকেট দিবো, জনগণের টিকেটই বড় টিকেট” ১৪৭
ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তন চেয়ে করা জেলেদের বিক্ষোভ
মিছিলে এমন বক্তব্য দিয়েছেন আবু বক্কর সিদ্দিক নামের এক জেলে।
‘ধানের
শীষে ভোট চাই, মনোনয়ন পরিবর্তন চাই’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার
সকাল সাড়ে ১১টায় সোয়াই নদীতে উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের বেলতলি অংশে
জাতীয়তাবাদী জেলে পরিবারের ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে জেলেরা।
সমাবেশে আবু বক্কর সিদ্দিক
বলেন, গৌরীপুর উপজেলায় যাবে নমিনেশন দেয়া হয়েছে তিনি থাকেন ঢাকায় এসি রুমে।
মাঝে মাঝে নমিনেশন নিয়ে আসে। তাদের কোন লোক নেই। সে ইউনিয়ন লেবেলে কারও
সাথে কোন দেখা নাই, যোগাযোগ নাই। তিনি হঠাৎ করে আসে, হঠাৎ করে চলে যায়।
২০১৮ সালের নির্বাচনে তাঁর ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে
গেলে যখন গন্ডগোল শুরু হয় তখন তিনি আমাদেরকে ফেলে রেখে ঢাকায় চলে যায়।
তিনি
আরও বলেন, আমরা ২১৭ জনে মামলা খেয়েছি, তিনবার হাজতে গিয়েছি তিনি একবারও
দেখতে আসেননি। হিরণ ভাই আমাদেরকে নিয়ে সভা করে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ২০১৪
সালে যখন ঘর থেকে বের হতে পারিনি আওয়ামী লীগের কারণে তখনও হিরণ ভাই আমাদের
পাশে ছিলো। ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেইনকে টিকেট দিয়েছে আমরা কখনও তাকে
পাইনি। আমরা জনগণই হিরণ ভাইকে টিকেট দিবো, জনগণের টিকেটই বড় টিকেট। আমরা
মনোনয়ন পরিবর্তন চাই।
আব্দুস ছালাম বলেন, আমরা ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল
হোসেইনকে চিনিনা। গত ১৭ বছর হিরণ ভাই হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। হিরণ ভাই
আমাদের পাশে ছিলো, এখনও আছে। আমরা মাছ ধরে খাই। গত চারমাস আগে আমাদেরকে জাল
কিনে দিছে হিরণ ভাই। এখন এই জাল দিয়ে আমাদের পরিবারের সদস্যরা মাছ ধরে
জীবিকা উপার্জন করি। আমরা হিরণ ভাইকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই।
আঃ হামিদ
বলেন, যারে মনোনয়ন দিছে হেইলা (তিনি) থাহেন (থাকেন) ঢাকায়। যদি হিরণ ভাইকে
মনোনয়ন দিতো আমরা এমপি হিসেবে বানাইতাম। হেই ব্যাটারে (তাকে) পাওয়া যায় না,
হিরণ ভাইকে ডাক দিলে সবসময় কাছে পাই। গৌরীপুর গেলেই সবসময় দেখা সাক্ষাৎ
পাওয়া যায়, গরীব মানুষ কোন আপদ-বিপদে পড়লেই হিরণকে সব সময় পাশে পাওয়া যায়।
আমরা চাই মনোনয়ন পরিবর্তন করে হিরণ ভাইকে মনোনয়ন দেওয়া হউক।
কর্মসূচীতে বেলতলি এলাকার শতাধিক জেলে অংশগ্রহণ করেন।